বিয়েবাড়িতে বৌ দেখতে হুড়োহুড়ি করে না এমন মানুষ পাওয়া যাবে না খুব একটা, সুতরাং নিজের বিয়ের বেলাতেও সতর্ক থাকুন বৌ-কে নিয়ে। আর বৌ-সাজের সবচেয়ে আকর্ষন থাকে বিয়ের শাড়ি নিয়ে। পছন্দসই রঙ ও ডিজাইনের এবং মনমত দামের হওয়াটা একটু কষ্টসাধ্য বটে। দৃষ্টি আর পকেটের কম্পোজিশন মেলাতে অযথা নাজেহাল না হতে চাইলে শপিংএ বেরোনোর আগেই একটু ঘুরে আসতে পারেন নুসরাতের ‘হলুদ ডেকোরেট বাই নুসরাত’ পেইজ থেকে।
সেই যে কাজিনের বিয়েতে গহনা বানানো দিয়ে শুরু, এরপর প্রশংসার ঝাপিতে আটকে যায় নুসরাত জাহানের গহনা বানিয়ে অনলাইনে সেল করার বানিজ্যটা। পারিপার্শ্বিক কম-বেশি বাধা থাকলেও শক্ত মনোবলে সেটাকে কাটিয়ে উঠে এখন দৃঢ়বস্থানে নুসরাতের বিয়েবাড়ি নিয়ে কারবার গুলো।
বিয়ের সবচেয়ে আকর্ষণীয় অংশ হচ্ছে গায়ে হলুদ।তাই একে সবচেয়ে সুন্দর ভাবে উদযাপন করা চাই। ডালা, কুলা, প্রদীপ, বাটি, রাখি, চন্দন, সোহাগপুরী, আফসান, হলুদ তোয়ালে, মেহেদি, ছোট পালকি, ঝুড়ি, মাছডালা, হাড়ি, পান-সুপারি, জর্দা, মিষ্টি, কনের জন্য কসমেটিক; এতোসব লিস্টের ঝামেলায় না গিয়ে সহজ সমাধান পেতে পারেন নুসরাতের ফেসবুক পেজটাতেই, কিংবা স্বশরীরে চলে যেতে পারেন মিরপুর বেনারসী পল্লীর ‘বিয়েবাজার ডট কম’এ।
বর-কনের ডালা সাজানো, ফুলের গয়না তৈরি, অতিথিদের জন্য উপহার কেনা, হলুদের স্টেজ সাজানো, এগুলো যদিও নিজেরাই করতে অনেক মজা, তাও আজকাল অনেকেই সময়ের অভাবে অথবা না জানার কারণে এসব দায়িত্ব ইভেন্ট ম্যানেজমেনটের হাতে তুলে দিয়ে নির্ভার থাকছে। নুসরাত জাহানের কাছে ইভেন্ট ম্যানেজমেন্টের সমাধানটাও পাবেন আপনি।
বিয়ের বাজারে গৎবাধা বেনারসি কিংবা কাতানকেই বৌয়ের সাজে বেছে নেয়ার বদলে জামদানিটাকেই প্রাধান্য দিয়ে অনলাইন পেইজের প্রসার বাড়াতে চান নুসরাত। দুবলাজাল, বলিহার, শাপলা ফুল, আঙ্গুরলতা, ময়ূরপ্যাচপাড়, কলমিলতা, চন্দ্রপাড়, ঝুমকা, বুটিদার, ঝালর, ময়ূরপাখা, পুইলতা, কল্কাপাড়, কচুপাতা, তেরছা, জলপাড়, পান্না হাজার, করোলা, প্রজাপতি, জুঁইবুটি, শবনম, ঝুমকা, জবাফুল সহ আরো নাম না জানা বাহারি নকশার হাফ সিল্ক আর ফুল কটন জামদানি পাবেন এখানে সাড়ে ৪ থেকে ৫০ হাজারের মধ্যে নুসরাতের ‘বুনন’ পেজটাতে। তবে আরো গর্জিয়াস এবং ভরাট নকশার জন্য যে কোন মূল্যের শাড়ি অর্ডার করতে পারেন দেশের যে কোন প্রান্তে এমনকি দেশের বাইরেও ডেলিভারির জন্য।