অন্যান্য

খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কোভিড-১৯ ভ্যাক্সিনের ৪র্থ ডোজ গ্রহণ করেন কেসিসি মেয়র

 

জাতীয় কৃমি নিয়ন্ত্রণ সপ্তাহ খুলনায় সুষ্ঠু ও সফলভাবে সম্পন্নের লক্ষ্যে আয়োজিত এ্যাডভোকেসি সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতা করেন সিটি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক।

খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক বলেছেন, শিশুদের স্বাস্থ্য সুরার জন্য কৃমি নিয়ন্ত্রণের গুরুত্ব অপরিসীম। এ গুরুত্ব বিবেচনায় জাতীয়ভাবে কৃমি নিয়ন্ত্রণ সপ্তাহ পালন করা হয়। আগামী ৭ থেকে ১২ জানুয়ারি দেশব্যাপী একযোগে কৃমি নিয়ন্ত্রণ সপ্তাহ পালিত হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, কৃমি শিশুদের পুষ্টিহীনতাসহ নানা রোগের সৃষ্টি করে। সে জন্য মহানগরীর একটি শিশুও যেন সরকারের জনকল্যাণমূলক এ কর্মসূচি থেকে বাদ না পড়ে সেদিকে সজাগ দৃষ্টি রাখার জন্য তিনি সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আহবান জানান।

সিটি মেয়র আজ সোমবার বেলা ১১ টায় নগরীর শেরে বাংলা রোডস্থ নগর স্বাস্থ্য ভবন অডিটরিয়ামে ‘জাতীয় কৃমি নিয়ন্ত্রণ সপ্তাহ’ পালন উপলে আয়োজিত এ্যাডভোকেসি ও পরিকল্পনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন। জাতীয় কৃমি নিয়ন্ত্রণ সপ্তাহ সুষ্ঠু ও সফলভাবে সম্পন্নের লক্ষ্যে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ফাইলেরিয়াসিস নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমের আওতায় কেসিসি’র স্বাস্থ্য বিভাগ এ সভার আয়োজন করে।

আগামী ৭ থেকে ১২ জানুয়ারী খুলনা মহানগরীর ৫ থেকে ১৬ বছর বয়সী বিদ্যালয়গামী ও বিদ্যালয় বহির্ভূত শিার্থীদের কৃমিনাশক ট্যাবলেট খাওয়ানো হবে এবং মহানগরীতে ৫শ ৮৫টি সরকারি-বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, সরকারি-বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, মাদ্রাসা ও এতিমখানার ১ লাখ ৪৮ হাজার ১’শ ৮৪ জন শিশুকে কৃমিনাশক ট্যাবলেট খাওয়ানোর ল্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে বলে সভায় জানানো হয়।

কেসিসি’র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (যুগ্মসচিব) লস্কার তাজুল ইসলাম-এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন খুলনার সিভিল সার্জন ডা. সুজাত আহমেদ, সহকারি স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. অপর্ণা বিশ্বাস, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা-খুলনার কর্মকর্তা ডা. মোঃ আরিফুর রহমান, ইউনিসেফ-এর সুরা কর্মকর্তা শারমীন আক্তার, জেলা প্রাথমিক শিা কর্মকর্তা মোঃ তৌহিদুল ইসলাম ও সদর থানা প্রাথমিক শিা কর্মকর্তা শেখ মোঃ নুরুল ইসলাম। স্বাগত বক্তৃতা করেন কেসিসি’র প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. স্বপন কুমার হালদার।